গভীর রাতে ঘুমের ঔষধ হাতে নিজেকে শেষ করবেন মর্মে পোস্ট করেন ওই নারী। সেটা দেখে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশি সহযোগিতা চান, ফোনকল পেয়েই মাঝরাতেই ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরীতে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ২টার দিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে আশরাফুল আলম নামে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, এক নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে শেষ করবেন বলে পোস্ট করেছেন।
তাকে আপনারা উদ্ধার করেন।
তার দেয়া তথ্য অনুসন্ধান করে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম পৌর শহরের হিঙ্গণরায় মিস্ত্রীপাড়া থেকে জাকিয়া ফেরদৌসী (২৮) নামে ওই নারী নিজ আইডি থেকে ওই পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে লিখেছেন ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার পরিবার আমার জীবনটা পুরো শেষ করে দিছে। তারাই দায়ী আমার মৃত্যুর জন্য। ’ পোস্টটি দিয়ে ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
পরে কুড়িগ্রাম সদর থানার রাত্রিকালীন ডিউটি অফিসার এসআই জাহিদ হাসান ঠিকানা সনাক্ত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং সেখানে গিয়ে প্রথমে জাকিয়া ফেরদৌসীকে উদ্ধার করে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
ডিউটি অফিসার জাহিদ হাসান জানান, জাকিয়া ফেরদৌসী মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত ছিলেন। পরিবার থেকে তার দুবার বিয়ে দেয়া হয়েছিল। দুটি বিয়েই ডিভোর্স হয়ে গেছে। এসব কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। বাবা জুলফিকার জামানের কাছে থাকেন তিনি। পরে তার পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে নিয়ে হতাশাগ্রস্ত জাকিয়া ফেরদৌসীকে কাউন্সিলিং করা হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে তার পরিবার ও স্থানীয়রা সতর্ক থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জাকিয়া ফেরদৌসী জানান, আমি মানসিকভাবে হতাশা থেকে পোস্টটি করেছিলাম। পরবর্তীতে এ রকম ভুল আর হবে না।